ভরা মৌসুমেও নদ-নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ

ইলিশের প্রধান মৌসুম শেষ হতে চললেও নদ-নদী থেকে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। এখনও সামুদ্রিক ইলিশের আধিক্য মাছের বাজারে। স্থানীয় নদ-নদীর কিছু ইলিশ আসলেও দাম চড়া। অপরদিকে সামুদ্রিক ইলিশ বিক্রি হচ্ছে গড়পরতা।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের এই সময়ে ইলিশে সয়লাব থাকার কথা বাজার। কিন্তু সাগর মোহনা এবং অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে নাব্যতা কমে যাওয়ায় সমুদ্রের ইলিশ উজানের দিকে আসতে পারছেন না। আবার ডিমওয়ালা ইলিশ নিধনের কুফল বলছেন অনেকে। তবে মৌসুমের শেষ সময়ে নদী ও সাগরে আরও ইলিশ আহরিত হবে আশা মাছ ব্যবসায়ী নেতাদের। 

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকাম সরগরম থাকে ক্রেতা-বিক্রেতায়। আজও ছিলো তেমন ভীড়। কিন্তু যত ক্রেতাবিক্রেতা এসেছেন সেই পরিমাণ ইলিশ আসেনি মোকামে। ফলে দাম আকাশচুম্বি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের এই সময় নদী সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ আহরিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে আভ্যন্তরীণ নদ-নদীর ইলিশ নেই বললেই চলে। নদী-নদীর কিছু ইলিশ বাজারে আসলেও দাম ছিলো সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই দরদাম করে ইলিশ না কিনেই ফিরে গেছেন অনেক ক্রেতা। দামের উর্ধ্বগতির কারণে অনেক ক্রেতা মাছ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন।

পোর্ট রোডের খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা পাইকরি ইলিশ কিনে কেজিতে সামান্য কিছু লাভ রেখে বিক্রি করেন। মাছ কম থাকায় সেভাবে আয় রোজগার করতে পারছেন না তারা।

মাছ ব্যবসায়ীরা বললেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে সমুদ্র থেকে নদীতে উঠে আসে ইলিশ। কিন্তু সাগর মোহনা এবং নদ-নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সেখানে বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় নদীতে তেমন ইলিশ উঠে আসছে না। আবার ডিমওয়ালা ইলিশ নিধনের কারণে উৎপাদনও কমে গেছে ইলিশের দাবি তাদের।

এ ধরণের আরো কিছু খবর