বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিতঃ পাকিস্তানি সাবেক রাষ্ট্রদূত

রবিবার (৫,ডিসেম্বর ২০২১) ঢাকায় শেষ হওয়া দুই দিনের আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘একাত্তরের গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক হোসেন হাক্কানি।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার মতো অনেকে মনে করে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর বিয়োগান্তক ঘটনা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই ধারণাকে তিনি সমর্থন করতেন। অতীতের ক্ষত এবং অপকর্ম সারাতে সামস্টিক ক্ষমার প্রতি যাদের বিশ্বাস রয়েছে, তাদের সবাই এটা সমর্থন করবে’।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হোসেন হাক্কানি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আমি প্রথম দেখেছিলাম ১৪ বছর বয়সে। তিনি ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনী প্রচার চালাতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। করাচি ন্যাশনাল পার্কের জনসভায় পশ্চিম পাকিস্তান ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অধিকার, গণতন্ত্র ও নায্যতার দাবিতে বঙ্গবন্ধু সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক। মহাত্মা গান্ধী ও নেলসন ম্যান্ডেলার মতো তিনিও জীবনের এক–পঞ্চমাংশ কাটিয়েছেন কারাগারে। তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়। আমি তো মনে করি, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। সেক্যুলারিজিম বিশ্বাসী পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের নায়ক মনে করেন, শুধু বাংলাদেশের নয়।’

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাডসন সেন্টারের পরিচালক হোসেন হাক্বানী বলেন, ‘রক্তস্নাত যুদ্ধ ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অন্য দেশগুলোর জন্য মডেল। আজ ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় আর্থসামাজিক নানা সূচকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে, তা স্বাধীনতার পর। এটি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের প্রতি সম্মান’।

বার্তাবিভাগ/একাত্তরজার্নাল২৪

এ ধরণের আরো কিছু খবর