নন্দীগ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় যুবলীগ নেতা আহত

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের মারপিটে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিল্লুর (৩২) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তাকে মারপিট ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫’টার দিকে উপজেলার ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিল্লুর ত্রিমোহনী বাজার থেকে বাড়িতে যাবার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তার পিতা ইয়াকুব আলী ও ভাই শামীম হোসেন এবং তাদের সহযোগী গাজিউর রহমান, এনামুল হক, আবু হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন তার পথরোধ করে বেদম মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করে জাহাঙ্গীর আলম জিল্লুর। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেদম মারপিট করেছে। এর পূর্বে ১৩ ডিসেম্বর, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রচারণা চলাকালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বৈদ্যনাথকেও তারা মারপিট করেছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্তের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিল্লুরকে মারপিট ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মারপিট ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সেসময় আমরা গোপালপুর গ্রামে ছিলাম। পরে এসে দেখি ত্রিমোহনী বাজারে হৈচৈ হচ্ছে। এরপর পরিস্থিতি শান্ত করে দিয়েছি।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী সদস্য মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ আহত জিল্লুর রহমানকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি এই হামলায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।

এ ধরণের আরো কিছু খবর