অভিযুক্ত ইকবাল পাগল নয়, ভবঘুরে’ও নয়ঃ কুমিল্লা সিআইডি

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার দায়ে আটক কুমিল্লা’র ইকবাল হোসেন ভবঘুরে কিংবা পাগল নয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) মোহাম্মদ রেজওয়ান। ইকবাল পাগল কিম্বা ভবঘুরে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইকবাল ঘটনার পরে নিজেকে সকলের অগোচরে রাখতে পালিয়ে গেছে কক্সবাজারে। একজন পাগলের পক্ষে ট্রেনে উঠে চট্টগ্রাম, আবার সেখান থেকে কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব কখনোই নয়।’

 তিনি আরো জানিয়েছেন ‘ইকবাল অত্যন্ত বিচক্ষণ, তাকে ভবঘুরে কিম্বা পাগল বলার সুযোগ নাই। ইকবালের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আছে। এ ছাড়া সে মটর শ্রমিক পেশায় নিয়োজিত ছিল। অন্যদিকে মসজিদের খেদমতে কাজ করত ইকবাল। সুস্থ মস্তিষ্কের একজন বিচক্ষণ মানুষ ইকবাল’।

পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান জানান, রিমান্ডে থাকা আসামি ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তবে রিমান্ডে থাকা মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন’কে পাগল ও ভবঘুরে বলা হলেও আসলে সে পাগলও নয় ভবঘুরেও নয়।

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকায় শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন মন্দিরের বাইরের অংশে হনুমান মুর্তির কোলের উপর পবিত্র কোরআন রেখে ধর্ম অবমাননা ও পরবর্তীতে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে মন্দির ভাংচুরসহ বিভিন্ন ঘটনায় জেলায় সোমবার পর্যন্ত মোট ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৮টি, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২টি এবং দাউদকান্দি মডেল থানায় ১টি ও দেবীদ্বারে একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনার মূল হোতা ইকবাল হোসেনসহ চার আসামি গত ২৯ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।

একাত্তরজার্নাল২৪ নিউজ ডেস্কঃ

এ ধরণের আরো কিছু খবর