নন্দীগ্রামে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায়  ৩২ টি দপ্তরের মধ্যে প্রথমস্থান অধিকার করলেন নন্দীগ্রাম  উপজেলা কৃষি অফিস

মামুন আহমেদ.(স্টাফ রিপোর্টার)

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় প্রথম হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। গত ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত চলা এই মেলায় বাংলাদেশের ৫০ বছরের সাফল্য ও অর্জনকে তুলে ধরে ৩২ টি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম মেলায় উপস্থাপন করে। সকল স্টলের মধ্যে কৃষি অফিসের স্টল ছিল চোখে পড়ার মতো। কৃষির নানা প্রযুক্তি এবং পঞ্চাশ বছরে কৃষিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতি তারা তুলে ধরেছেন। শস্য চিত্রে জাতীয় পতাকা, শস্য চিত্রে মানচিত্র, সবজি বোঝাই নৌকা, কালিকাপুর মডেল সবজি চাষ, ভাসমান বীজতলা, মালচিং পেপার ব্যবহার পদ্ধতি, পার্চিং পদ্ধতি, ঝুলন্ত পদ্ধতিতে সবজি চাষ, ছাদ কৃষি মডেল, ভার্টিকেল পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অধিক সবজি চাষ, প্ল্যান্ট ডক্টর, কৃষি আইটি সেবাসহ নানা ধরনের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সেবার সমাহার ছিল তাদের স্টলে। কৃষি বিভাগের স্টলে দর্শনাথী এবং কৃষি সেবা গ্রহীতাদের ছিল উপচে পড়া ভীড়। কাথম গ্রামে কৃষক শ্রী বলাই চন্দ্র জানান, কৃষি অফিসের স্টলে অনেক কৃষি প্রযুক্তি দেখে শিখেছি এবং আমরা এগুলো জমিতে ব্যবহার করবো। নিজামতকুড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ আফজাল হোসেন জানান, মেলাতে এসে আমি অনলাইনে সার সুপারিশমালা শিখেছি। এখন আমি জমিতে সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে পারবো। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আদনান বাবু বলেন, মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় আমরা কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা অর্জন এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি তুলে ধরেছি। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সরাসরি কৃষি সেবা প্রদান করছি। নন্দীগ্রামের কৃষি ও কৃষকের জন্য এই মেলা একটি কৃষি অনুপ্রেরণার প্রতিচ্ছবি।

একাত্তরজার্নাল২৪/মামুন

এ ধরণের আরো কিছু খবর